জাহাবুল ইসলাম

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নিখোঁজের ১০ দিন পর জাহাবুল ইসলাম (২২) নামের এক গাড়িচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সদর উপজেলার তালবাড়িয়াঘাট এলাকার পদ্মা নদীর তীরের বালুর স্তূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম। 

জাহাবুল ইসলাম মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসা সাগদরচর গ্রামের সাইকুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন জাহাবুল। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া কাঞ্চনপুর এলাকার জসীম উদ্দীনের ইটভাটায় গাড়ি চালাতেন তিনি। নিখোঁজের পর থেকে তার গাড়ির হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। 

এর আগে নিখোঁজের ঘটনায় নিহতের মেজো ভাই মাহাবুল ইসলাম মিরপুর থানায় ২৪ জানুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইটভাটায় কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন জাহাবুল। কয়েকদিন পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে জাহাবুলের ভাই মিরপুর থানায় জিডি করেন।

নিহতের মেজো ভাই মাহাবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার আমাদের কাছে মোবাইলে খবর আসে কুষ্টিয়ার তালবাড়িয়া ঘাটে বালুর স্তূপে ভেতরে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। গিয়ে দেখি আমার ছোট ভাই জাহাবুলের গলিত মরদেহ। শনাক্তের পর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়ি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আমার ভাই খুন হয়েছে। তার গাড়ি চুরি করে নিয়ে গেছে। আমার ধারণা পরিচিত কেউ আমার ভাইকে হত্যা করেছে। 

জাহাবুলের চাচা মারফত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তার শারীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথার খুলি ভাঙা। খুব অত্যাচার করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার গাড়িটি ছিনতাই করা হয়েছে। জাহাবুলের বন্ধুরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। পুলিশ তদন্ত করলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের হয়ে আসবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ওই যুবকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। জাহাবুলের ট্রলি গাড়িটি পাওয়া যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ওসি বলেন, তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যেই হোক না কেন গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

রাজু আহমেদ/এএম