খুলনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. এনায়েত হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহানগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পালপাড়া পল্লীতীর্থ সরকারি বিদ্যালয়ের সামনে তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় বাড়িতে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধার দুই পূত্রবধূকে মারধর ও নির্যাতন করে ডাকাতরা। মুখোশধারী ডাকাতদলের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. এনায়েত হোসেনের বড় ছেলে মিরাজুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) এবং সেঝ ছেলে রফিকুল ইসলাম মেহেরপুর জেলা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এনায়েত হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তার দুই ছেলে পুলিশে কর্মরত রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেনের বড় মেয়ে মার্জিয়া বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছি। গত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমাদের টিনশেড বাড়ির উত্তর পাশের দরজা বাইরে থেকে ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। আমার মেঝ ভাই সিরাজুল ইসলাম মোবাইলে নেট ব্রাউজ করছিল। ডাকাত দেখে ও মোবাইলে টর্চ চালু করলে ওর ফোন নিয়ে মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা।

ডাকাতরা ঘরের ভেতর ১২ জন প্রবেশ করে। বাইরে আরও ২-৪ জন ছিল। সবার হাতে ছুরি ও স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। একজনের হাতে বটি ছিল। সবার কোমরে কিছু ছিল। সেটা কী বলতে পারব না। সবাইকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখায়। পুরো ঘর তছনছ করে। সেঝ ভাই নতুন বিয়ে করেছেন। ওর স্ত্রীর কাছে ডাকাতরা গয়না চেয়েছে। দিতে অস্বীকার করায় মারধর করেছ। 

মেঝ ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও মেরেছে ডাকাতরা। এক ঘণ্টা ধরে ঘরের মধ্যে ডাকাতের অত্যাচারে আমার বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘটনার পর ভোরে ও সকালে দুই দফা দৌলতপুর থানা পুলিশ বাড়িতে এসেছেন।

মোহাম্মদ মিলন/এসপি