কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাঞ্চল্যকর সিক্স মার্ডার মামলায় জানে আলম (৩৫) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। পরে জানে আলম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ক্যাম্প-৯ এর ব্লক- সি/১৭ ব্লকের বাসিন্দা মো. ছলিমের ছেলে।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দাশের আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন জানে আলম। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এর আগে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ক্যাম্প-৯ এর সি/১১ ব্লকে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় অস্ত্রসহ জানে আলমকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান এপিবিএন-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন।

তিনি জানান, গত ২২ অক্টোবর গভীর রাতে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ তে দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়া মাদরাসায় ছয় রোহিঙ্গাকে দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করে। এরপর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেফতারে এপিবিএন তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্প-৯ এর সি/১১ ব্লকে অভিযান চালিয়ে জানে আলমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি কক্সবাজার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দাশের আদালতে ঘটনার দিন রাতে হাবিব উল্লাহর ছেলে ইব্রাহিমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পে নিজ কার্যালয়ে গুলি ছুড়ে হত্যা করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে। এরপর ২২ অক্টোবর রাতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়া মাদরাসায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপরই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্যাম্পে টহল জোরদার করে। 

আরএআর