উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বেড়েই চলছে শীতের দাপট। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ওঠানামা করায় জেলায় শীতের প্রকোপ বাড়চ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা হ্রাস পেলেও আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে টানা ৯ দিন এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোনো উত্তাপ। ফলে বেলা গড়াতে না গড়াতেই হিম শীতল বাতাস বইতে শুরু করে জেলাজুড়ে। এমনকি রাতভর থাকছে শীতের দাপট।  তবে এক সপ্তাহ তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কুয়াশার দাপট কিছুটা কমছে। সকালের পর থেকে দুপুর পর্যন্ত রৌদ্রের উজ্জ্বল হাসি থাকায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে খানিকটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। 

কথা হয় জেলা শহরের ভ্যানচালক আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা হলে কনকনে শীত অনূভুত হচ্ছে।শীতের কারণে আমরা আগের মতো যাত্রী পাচ্ছি না। তাই কয়েক দিন ধরে বেশির ভাগ সময় বেকার সময় পার করছি।

একই কথা বলেন জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকার পাথর শ্রমিক হাজেরা খাতুন। তিনি বলেন, শীত প্রতি বছর আসে কিন্তু আমরা শীতবস্ত্র পাই না। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের মতো গরিব, অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র দেওয়া হোক। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ সকাল ৯টায় তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে আকাশে কিছুটা মেঘ দেখা যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

রনি মিয়াজী/এসপি