পূর্বশত্রুতার জেরে মাদারীপুরের কালকিনিতে হামলায় এক পা কেটে নেওয়ার মামলার বাদীর চাচা মো. লিয়াকত আলী খানকে (৫৮) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামে ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরাজ হোসেনের পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় আপং কাজীর লোকজন। পরে মিরাজের ভাই কবির খাঁ বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে আপাং কাজীসহ ৩৫ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পরে থানা পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পা কাটা মামলার বাদীর চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় আসামিরা। পরে স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী ও আহত লিয়াকত খানের ভাতিজা কালাম খান বলেন, আমার ভাই মিরাজ খানের পা কেটে নেয় আপাং কাজীর লোকজন। তাই আমি আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে কালকিনি থানায় একটি মামলা করি। পরে আদালত আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় আমার চাচা লিয়াকত খানের দুই পা ভেঙে দিয়েছে আসামিরা। আমরা এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করি।

তবে অভিযোগের বিষয় আপাং কাজী বলেন, পা ভাঙার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কে বা কারা তার পায়ে আঘাত করেছে, সেটা আমার জানারও কথা না। এখন তারা পূর্বশত্রুতার কারণে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলছে।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কাঞ্চন মিয়া বলেন, আমরা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে গেলে, তা টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। তবে শুনেছি পরে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সামনে কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাজমুল মোড়ল/এনএ