বন্ধ হয়ে গেল চার পরিবারের পথ
দীর্ঘ বছরের পুরোনো বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তায় জোর করে তারকাঁটার বেড়া দিয়েছেন এক প্রভাবশালী। এতে চারটি পরিবারের ২৭ জন মানুষের চলাচল হলো সীমিত। তারা না পারছে বাড়ির বাইরে যেতে, না পারছে বাড়িতে প্রবেশ করতে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তারকাঁটার বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শতাধিক গ্রামবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের ৪টি পরিবারের যাতায়াতের এই পথটি এখন বন্ধ। এতে বাগানের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই পরিবারগুলোকে। সপ্তাহখানেক আগে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে পথটি বন্ধ করে দেন মালিপাড়া গ্রামের তাহের মন্ডলের ছেলে লালান মন্ডল।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আমার সহযোগিতা থাকবে। তবে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব
শারমিন আক্তার, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নিজের জায়গা অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার অজুহাতে এই বেড়া দিয়েছেন তাহের মন্ডল ও তার ছেলে লালান মন্ডল।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান (জিয়া) জানান, আমার প্রতিবেশী তাহের মন্ডল প্রায় ২৭ বছর আগে আমাদের এই জায়গায় বসতি করার জন্য বলেন। আমরা প্রথমে আসতে রাজি হইনি। কারণ, আমাদের বের হওয়ার রাস্তা নেই। পরে তাহের মন্ডল আমাদের রাস্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলে আমরা আসি। কিন্তু হঠাৎ সপ্তাহখানেক হলো তার ছেলে লালান মন্ডল রাস্তাটিতে তারকাঁটার বেড়া দেন। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা বের হওয়ার রাস্তা পাচ্ছি না। বর্তমানে আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমরা ছাড়াও শতাধিক গ্রামবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু সমাধান চাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাহের মন্ডল ও তার ছেলে লালান মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন বলেন, কারও চলাচলের পথ বন্ধ করা উচিত নয়। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আমার সহযোগিতা থাকবে। তবে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এনএ