মিষ্টিকুমড়া চাষে স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের চাষিরা
কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলে এবার মিষ্টিকুমড়ার ব্যাপক চাষ হয়েছে
কুড়িগ্রামে ছোট-বড় মিলে ১৬টি নদ-নদী রয়েছে। চর দ্বীপ চরসহ সাড় ৪ শতাধিক চরাঞ্চল আছে। তবে এসব নদীর অববাহিকাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে এবার মিষ্টিকুমড়ার ব্যাপক চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার নদ-নদীগুলোর অববাহিকায় বালু মাটিতে হাইব্রিড জাতের সুইটি, সোহাগী, সেরা, ছক্কা ও ব্যাংকক-১ জাতের মিষ্টিকুমড়ার বীজ বপন করছেন কৃষকরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এ কুমড়ার আবাদ। ফলন ভালো হওয়ায় এবার জেলায় মিষ্টিকুমড়ার চাষ করে লাভের আসায় চরাঞ্চলের চাষিরা।
বিজ্ঞাপন
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষে সব মিলিয়ে ব্যয় হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে এক বিঘা জমির উৎপাদিত মিষ্টিকুমড়া বিক্রি হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বীজ জমিতে বপনের ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে কুমড়া বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান তারা।
জেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টিকুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় আনুমানিক প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে শুধু মিষ্টিকুমড়ার আবাদ হয়েছে। চাষিরা তাদের কাঙ্ক্ষিত আশা পূরণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে খবর নিয়ে চাষিদের সহযোগিতা করা হবে
মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার মো. মাহবুব, নুর আলম, আব্দুল খালেক ও রমজান জানান, এবার প্রথম আমরা চার বন্ধু মিলে এ চরে ৩৫ বিঘা জমিতে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইটি, সোহাগী, সেরা, ছক্কা ও ব্যাংকক-১ জাতের মিষ্টিকুমড়ার বীজ বপন করেছি। কুমড়াও এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আসা করছি আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকায় মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক কৃষক মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে এবার ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবেন।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টিকুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় আনুমানিক প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে শুধু মিষ্টিকুমড়ার আবাদ হয়েছে। চাষিরা তাদের কাঙ্ক্ষিত আশা পূরণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে খবর নিয়ে চাষিদের সহযোগিতা করা হবে।
এনএ