চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পরও মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হওয়ার পর বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুরের ঢুলিপাড়া গ্রামের আবু তাহের দুখুর ছেলে মো. ইব্রাহিম হোসেন।

নিহতের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত হওয়ার একদিন পার হয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত দিচ্ছে না বিএসএফ। বিজিবির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কিছুই জানতে পারছি না। শুনেছি কাল পতাকা বৈঠক করে মরদেহ ফেরত দিবে, কিন্তু তাও হয়নি। আমরা লাশ ফেরত চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আজমতপুর বিজিবি ফাঁড়িতে বারবার যোগাযোগ করছি।

শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মুনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার রাত ২টার দিকে আজমতপুর সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে আহত হন। গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমকে বিএসএফ সদস্যরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে জানান, আজমতপুর সীমান্তে ১৮৪ আন্তর্জাতিক পিলারের ২ এস সাব পিলারের পাশে এক বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা গুলিতে নিহতের বিষয়টি স্বীকার করেছে। মরদেহ ফেরতের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র ৭০ শশ্মানি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে বুধবার দুপুরে একটি পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আপডেট নেয় বলেও জানান তিনি। 

মো. জাহাঙ্গীর আলম/আরআই