ফাইল ছবি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীর থেকে পাওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম রাশেদুল ইসলাম (৩২)। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টোর কিপার পদে চাকরি করতেন।

এর আগে, রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

রাশেদুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বরিশাল ডিপোতে (কালিজিরা) স্টোর কিপার পদে চাকরি করতেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল ৩টার দিকে তারা নদীর চরে অচেনা এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পায়। 

ট্রলার চালক আনসার আলী বলেন, বেলা ১১টার দিকে একটি মরদেহ নলছিটির মাটিভাঙ্গা এলাকা থেকে ভেসে ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছে।
 
স্থানীয় চা দোকানদার মিরাজ হোসেন বলেন, দুপুরে জোয়ারের সময় বরিশালের দিক থেকে ভাসতে ভাসতে এসে বারইকরন চরে মরদেহটি আটকা পড়ে। বিকেলে নদীতে ভাটা থাকায় অর্ধডোবা মরদেহটি চরে জেগে ওঠে। 

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল রানা বলেন, আমরা অজ্ঞাত মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। 

রাত সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থলে আসেন নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার। তিনি বলেন, নদীতে মরদেহ ভাসছে এমন খবর পেয়ে সকালে আমরা মাটি ভাঙ্গা এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও মরদেহটি পাইনি। এখন বারইকরন গিয়ে চরে আটকে থাকা অবস্থায় পেয়েছি। রাতেই এখান থেকে মরদেহটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

নলছিটি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান রাত সোয়া ১২টার দিকে জানান, মুঠোফোনের সিম চালু করে নিহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে রাশেদুল নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছে। বাকিটা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

ইসমাঈল হোসাঈন/এসপি