শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ আলী

ভোটকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর দেওয়া খাবার খাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এক উপ-পুলিশ পরিদর্শক। তাঁর দাবি, কারও দেওয়া খাবার খেলে ভোটে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করা যায় না।

ব্যতিক্রমী অবস্থান নিয়ে স্থানীয়দের আলোচনায় আসা পুলিশের এই উপ-পরিদর্শকের নাম শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ আলী। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ দাখিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন।

মোরশেদ আলী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকালে আমি কোনো প্রার্থীর খাবার খাই না, আজও খাইনি। কারও দেওয়া খাবার খেলে অন্য প্রার্থী মনে করেন আমি তাকে সহযোগিতা করছি। ভোট হবে নিরপেক্ষ, আমি কারও পক্ষে নই। সে কারণে কারও দেওয়া খাবার খেতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছি। রাতে খাওয়া হয়নি। কেননা এটি উপকূলীয় অঞ্চল, দোকানপাটও খুব কম। আশপাশে দোকানপাট না থাকায় না খেয়েই থাকতে হয়েছে। সকালে রুটি খেয়ে নাশতা করেছি। দায়িত্ব শেষে আবার খাওয়া-দাওয়া করব।’

স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী মোস্তাফিজুুর রহমান বকুল বলেন, ‘আমি মোরশেদ আলী স্যারকে খাওয়ার জন্য বলেছি, কিন্তু তিনি কোনো প্রার্থীর খাবার খাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সবাই তার প্রশংসা করছেন।’

চতুর্থ ধাপে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নয়টি ও তালা উপজেলার একটি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪০৩ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

আকরামুল ইসলাম/এমএসআর/জেএস