চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার একাধিক কেন্দ্রে ব্যালটে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই লেখা সিল মেরেছে অজ্ঞাতরা। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এমন তিনটি ব্যালট পেপারের ছবি এসে পৌঁছায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।

জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে জেলার কবিরহাট উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৬৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিতে চলে ভোটগ্রহণ। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। 

বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তিনটি ব্যালট পেপার ভাইরাল হয় যার মধ্যে সুন্দলপুর ইউনিয়নের একটিতে লেখা ছিল ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ব্যালটে লেখা ছিল ‘বেগম জিয়ার মুক্তি চাই’ এবং কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের একটি সিলে লেখা ছিল ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’।

কবিরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন তথ্য আমার জানা নেই। তবে ভোটের বাক্সে এ ধরনের কোনো ব্যালট পাওয়া গেলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোহাম্মদ নোমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নেতাকর্মীরা বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ও আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে নিরব প্রতিবাদ স্বরূপ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হয়তো ব্যালটে মুক্তির সিল মেরেছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছেন। অতি উৎসাহী বা আবেগী কোনো নেতাকর্মী এ কাজ করেছে বলে মনে হয়। এর আগেও কয়েকটি নির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটেছে।

হাসিব আল আমিন/এসপি