নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ
জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল জব্বার ফরহাদের লোকজন মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞাপন
নবনির্বাচিত সদস্য মাে. মনােয়ার হােসেন (৩৮) কড়ই চকপাড়া গ্রামের মাে. এনামুল হকের ছেলে। আর হামলা ও মারধরের অভিযোগ ওঠা আব্দুল জব্বার ফরহাদ একই ওয়ার্ডের পালপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে মনোয়ার হোসেন বলেন, চতুর্থ ধাপে গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার ফরহাদ আমাকে ও আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। ফরহাদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। নির্বাচনের পরদিন সোমবার রাত ৮টার দিকে কড়ই মাদরাসা বাজারের একটি চায়ের স্টলে চা পান করতে যাই। সেখানে তিনি ও তার ভাই আলীমসহ ১০-১৫ জন লাঠি-সোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, তারা আমাকে প্রচণ্ড মারপিট করে। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমার কর্মীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে এখন কিছুটা সুস্থ। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার ফরহাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার কর্মীদের নিয়ে চা-স্টলে চা পান করছিলাম। সেই সময় নবনির্বাচিত সদস্য মনোয়ার হোসেন এসে অযাচিতভাবে আমাদের চায়ের বিল দিতে চান। এ নিয়ে আমার কর্মীদের সঙ্গে মনোয়ার হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সেখানে কোনো হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
চম্পক কুমার/আরআই