পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের উন্নয়নের স্বার্থে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। বর্তমান সরকার সিলেটের উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ দিয়েছে। সেটা খরচ করা হচ্ছে বলেই কাজ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের প্রতি অতি আন্তরিক। তিনি সিলেটের উন্নয়নে সব কিছু দিতে রাজি আছেন। তিনি না চাইতেই আমাদের অনেক কিছু দেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পক্ষ থেকে তাকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সিলেট থেকে আখাউড়া পর্যন্ত উন্নত রেললাইন করার জন্য দেন-দরবার চলছে। ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ওই রুটে ডুয়েলগেজ লাইন হবে। আশা করছি হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সিলেট নগরীর উন্নয়নে এই সরকার ১২২৮ কোটি টাকা দিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা-রাস্তাঘাট উন্নত হচ্ছে। এয়ারপোর্ট অত্যাধুনিক হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। শিক্ষাখাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সিলেটের প্রত্যেকটি কলেজে বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে মডেল সিলেট গড়ে তোলা হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নগরী আপনার-আমার সকলের। কে কোন মতের বা দলের সেটা দেখার বিষয় নয়,  আমরা সিলেটি এটাই মূল বিষয়। আমাদের সবার হৃদয়ে সিলেট। সুতরাং বৃহত্তর সিলেটের মঙ্গলের জন্য সব কিছু মিলেমিশে একসঙ্গে করতে হবে।

এদিকে সিসিক মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগবিরোধী বক্তব্য প্রদানের অজুহাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে বুধবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে এসে পৌঁছান।

আরএআর