লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে ভারতীয় ৪টি গরু ছিনিয়ে নিয়েছেন চোরাকারবারিরা। থানায় মামলা হয়েছে বলে শনিবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা করেছেন বিজিবি। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকালে উপজেলার শ্যামের এলাকায়।

জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে চোরাই পথে গরু বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পূর্ব বেজগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে চারটি ভারতীয় গরু উদ্ধার করে গেন্দুকুড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। উদ্ধারকৃত গরু নছিমন-ভটভটিতে করে ক্যাম্পে নেওয়ার পথে কেতকিবাড়ি শ্যামের বাজার এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গরু ছিনতাই করে নিয়ে যায় চোরাকারবারিরা।

উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া এলাকার আফতাব উদ জামান আলিফ ও ইসমেত দোহা সিজানের নেতৃত্বে এই গরু ছিনতাইয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গেন্দুকুড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার লিয়াকত বলেন, গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এতে ৩০-৪০ জনের নাম ও অজ্ঞাত উল্লেখ করে অভিযোগটি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চোরাকারবারি আফতাব উদ জামান আলিফ গরু ছিনিয়ে আনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিজিবি গরু আনতে না দিলে আমরা আনতে পারি? তারা গরু আনা বাবদ লাইন নেয়। তাহলে তারা গরু আটক করবে কেন? তাই গরুগুলো তাদের কাছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইসমেত দোহা সিজান মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয় আমার কোনো মন্তব্য নেই। সাক্ষাতে বিষয়টি বলা হবে। আপাতত নিউজ করার প্রয়োজন নেই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিজিবি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিজিবি ৩০ থেকে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া মামলার তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এনএ