লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ইসমাইলসহ ৭ জনের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় ৭ জনকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে ২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মামলার আরও ১১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম, দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য ইসমাইল ও তার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ, ভাই সবুজ, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম হোসেন, মানিক। এরমধ্যে কাশেম ও ইসমাইল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আনোয়ার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান প্রয়াত নূর হোসেন শামিমের ভাই। আনোয়ার ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১০টি হত্যাসহ বহু মামলা ছিল বলে তখন জানিয়েছে সদর থানা পুলিশ।

২০১১ সালের ৪ জুন রাতে আনোয়ার দত্তপাড়া বাজারে যায়। এ সময় আসামিরা তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন তার ভাই আশেক ই এলাহি বাবুল বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে অভিযুক্ত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও তার দুই ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন লিটনকে মামলার আসামি করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেয়।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসআর