গ্রেপ্তার শামছুল ইসলাম

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জাহাবুল ইসলাম (২২) নামে এক ট্রলিচালককে হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু শামছুল ইসলাম (২৭)  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার। 

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার শামসুল ইসলাম। তিনি মিরপুর উপজেলার নওদা গোবিন্দপুর এলাকার ফরু সর্দারের ছেলে। ভেড়ামারা উপজেলার আদম বেপারীপাড়া গ্রাম থেকে নিহত জাহাবুলের ব্যবহৃত ট্রলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত জাহাবুল ইসলাম মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসা সাগদরচর গ্রামের সাইকুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া কাঞ্চনপুর এলাকার জসীম উদ্দীনের ইট ভাটায় ব্যক্তিগত ট্রলি গাড়িতে ইট বহনের কাজ করতেন জাহাবুল।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইটভাটায় কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন জাহাবুল। কয়েকদিন বাড়ি না ফেরায় পরিবার ও স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। না পেয়ে জাহাবুলের নিখোঁজের ঘটনায় মেজো ভাই মাহাবুল ইসলাম মিরপুর থানায় গত ২৪ জানুয়ারি একটি জিডি করেন। 

গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ঘাট এলাকার পদ্মা নদীর তীরে বালুর স্তূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জাহাবুলের বাবা সাইকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় জাহাবুলের বন্ধু শামসুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করা হয়। 

কুষ্টিয়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার জানান, আসামি শামছুল ট্রলিটি হাতিয়ে নিতে লোহার হ্যান্ডেল দিয়ে জাহাবুলের পেছন দিক থেকে মাথায় পর পর ৩-৪ টি আঘাত করেন। এতে জাহাবুলের মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শামছুল ইসলাম। ট্রলি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য জাহাবুলকে হত্যা করেন শামসুল। 

নিহতের মেজো ভাই মাহাবুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার আমাদের কাছে মোবাইলে খবর আসে- মিরপুর তালবাড়িয়া ঘাটে বালুর স্তূপের ভেতরে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি আমার ছোট ভাই জাহাবুলের গলিত মরদেহ। একমাত্র ট্রলির কারণে আমার ভাই খুন হয়েছে। 

নিহত জাহাবুলের চাচা মারফত আলী বলেন, জাহাবুলের শারীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথার খুলি ভাঙা ছিল। খুব অত্যাচার করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার ট্রলিটি ছিনতাই করা হয়েছে। শামসুল বন্ধু হয়ে বন্ধুকে হত্যা করেছে। 

রাজু আহমেদ/আরএআর