বরগুনার আমতলীতে নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর মুন্সীকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে আসামি সাগর মুন্সিকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার হাজারীবাগ থানার মধুবাজার থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রণজিৎ সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার আসামি সাগর মুন্সি আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামের আলানুর মুন্সীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে প্রায় চার মাস পর্যন্ত তিনি পলাতক ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামের আলেয়া বেগম (৬০) চাচাতো ভাসুরের ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগমের কাছ থেকে ২০২১ সালে ১০ কেজি চাল ধার নেন। ওই চাল এক বছরেও পরিশোধ করেননি আলেয়া বেগম। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে আলেয়া বেগম তার ছেলে আলানুর, জামাতা খলিল সিকদার, মেয়ে খালেদা ও আসমাকে ডেকে আনেন। এ সময় আলেয়ার নাতি সাগর মুন্সি নুরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগম বলেন, চাচি আলেয়া বেগম আমার কাছ থেকে গত বছর ১০ কেজি চাল ধার নেন। ওই চাল এক বছরেও তিনি পরিশোধ করেননি। ধারের ওই চাল আমি ফেরত চাইলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামিরা আমার স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর মুন্সীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে আমতলী থানায় আনা হয়। বুধবার দুপুরে তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ধারের ১০ কেজি চাল ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নুরুল ইসলাম নিহত হন। ওই দিন রাতেই নিহতের ছেলে আলীম বাদী হয়ে সাগর মুন্সীসহ ৭ জনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই ঘটনার জড়িত আলানুর মুন্সি ও তার মা আলেয়া বেগম, বোন খালেদা ও আসমাকে আগেই গ্রেফতার করেছিল আমতলী থানা পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আলানুর মুন্সী ছাড়া আলেয়া বেগম, বোন খালেদা ও আসমা জামিনে রয়েছেন। আর প্রধান আসামি সাগর মুন্সী ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।
 
এনএ