গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একটি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সদস্য প্রার্থীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ভোটগ্রহণ চলাকালে উপজেলার জুম্মাবাড়ি ইউনিয়নের দহিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মিলন জানান, দুপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালে সদস্য প্রার্থী আবদুল গণিসহ (টিউবওয়েল) তার কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবীরের (ফুটবল) সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবদুল গণি ও তার ভাই আবদুল রশিদসহ অপর প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবীর আহত হন। 

সংঘর্ষ ও সহিংসতা ঠেকাতে দুপুর ২টার পর থেকে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৫৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে আজ। এর মধ্যে ফুলছড়ির ৬ ইউপির একটিতে (কঞ্চিপাড়া) ও সাঘাটার ৯ ইউপির দুটি (পদুমশহর ও বোনারপাড়া) ইউপির ২৮টি কেন্দ্রে ইভিএমে এবং বাকি ১৩ ইউপির ১২৯টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটে ১৬টি ইউপির ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৩৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৯৩, সাধারণ সদস্য পদে ৬২৩ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৫৫ জন প্রার্থী।

রিপন আকন্দ/আরআই