দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের হিম শীতল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। কনকনে শীতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।

শনিবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। 

পঞ্চগড় থেকে হিমালয় পর্বতমালা খুব কাছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়জুড়ে হিমালয় থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসের পরিমাণ বাড়তে থাকে। সকালে সূর্যের দেখা মেলে না বললেই চলে। দুপুর ১২টার দিকে কিছুটা আলো দেখা যায়। তবে এটি স্থায়ী হয় না। আবার কুয়াশার চাদরে মিলিয়ে যায়।

শীতের দাপটে মানুষ গরম কাপড়ের আশ্রয় নিয়েছে। বিত্তবানরা গরম কাপড় সংগ্রহ করতে পারলেও নিম্নবিত্তের মানুষরা শীত নিবারণের জন্য ছুটছেন পুরোনো কাপড়ের দোকানে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শীত মৌসুমে প্রতিবছরই পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। চলতি মৌসুমেও জেলায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১১-৯ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তবে দিন দিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে বলে জানানো হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা ওঠানামা করায় দিন দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এদিকে জেলা প্রশাসন জেলার পাঁচ উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যােগ নিয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ২১ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীত মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। 

রনি মিয়াজী/এসপি/জেএস