ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় আব্দুর রহিম (৫৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত (০৭ জানুয়ারি) ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে শৈলকুপায় একই ইউনিয়নের চারজনের মৃত্যু হলো।

আব্দুর রহিম শৈলকুপা উপজেলার ৬ নং সারুটিয়া ইউয়িনয়নের কৃত্তিনগর গ্রামের মৃত খোরশেদ শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কাতলাগাড়ি বাজারে নাইটগার্ডের কাজ করতেন।

৬ নং সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহামুদুল হাসান মামুন জানান, মৃত আব্দুর রহিম কাতলাগাড়ী বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে নাইটগার্ডের কাজ করতেন। ২২ ডিসেম্বর নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা করে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে টিপু গ্রুপের লোকজন।

২৩ ডিসেম্বর আব্দুর রহিম বাজার পাহারা শেষে সকালে একা একা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে  নৌকার বিদ্রোহী গ্রুপের লোজকন তার ওপর হামলা করে। তার দুই হাত ও পা ভেঙে দেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া এবং পরে রাজশাহীতে পাঠানো হয়। 

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে গত ২৩ ডিসেম্বর নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা করে পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়। ওই ঘটনার পর আব্দুর রহিমের হাত পা ভেঙে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আমরা খবর পেয়েছি শুক্রবার রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার পরিবার থেকে এখনও কোনো মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এসপি