জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা একসঙ্গে, একযোগে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছি। আপনারা আমাদের হাতকে শক্তিশালী করবেন।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এই সমাবেশে যাওয়ার পথে আশুগঞ্জে রুমিন ফারহানাকে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিএনপির সমাবেশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে হওয়ার কথা ছিল। তবে একই স্থানে জেলা ছাত্রলীগও সমাবেশ ডাকে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।

রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার মনে করে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলে, সরকারের অনেক কিছু বের হয়ে আসবে। সরকারের অনেক ভয়। এ কারণে তাকে (খালেদা জিয়া) ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আজ মানুষ জেগে উঠেছে। যারা নানা জাতের মিত্রশক্তি আশপাশে রাখেন, তারা মনে করেন মানুষের ভোটের দরকার নেই। আমেরিকা থেকে স্যাংক্শন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে দিয়েছে, র‌্যাব তাদের পেটোয়া বাহিনী। র‌্যাবের কর্মকর্তাকে স্যাংক্শন দিয়ে দিয়েছে। তারা ভেবেছিল এই যে টাকাগুলো চুরি করে তারা কয়েক বছরে কামিয়েছে, সেটা নিয়ে কানাডায় যাবে, বেগমপাড়ায় পালাবে, মালেশিয়ায় যাবে, আমেরিকা যাবে; সেই সুযোগ আর নেই। পালাবার সুযোগ পাবেন না। স্যাংক্শন এসেছে, এই দেশেই তাদের বিচার হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব এবং সাবেক প্রবাসী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এ কে একরামুজ্জামান।

আজিজুল সঞ্চয়/এনএ/জেএস