শ্মশানে নেওয়া হচ্ছে খিতিশ চন্দ্র ভেলুর মরদেহ

বগুড়ায় অ্যালকোহল পানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই পরিবারের দুজনসহ আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়াল। মৃত আটজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। অ্যালকোহল পানে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় পারুল হোমিও হল, পুনম হোমিও ও খান হোমিও হলের নামে একটি মামলা করা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শহরের পুরান বগুড়া এলাকার প্রেমনাথ রবিদাস (৭০) ও তার ভাই রামনাথ রবিদাস (৬০), একই এলাকার ট্রাকচালক খিতিশ চন্দ্র ভেলু (৬৫), পুরান বগুড়া জেলাদার পাড়ার রমজান আলী (৪০) ও সদরের ফাপোড় এলাকার মেকানিক জুলফিকার আলী (৫২)।

প্রেমনাথ রবিদাস সোমবার রাতে মারা যান। রামনাথ রবিদাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পুরান বগুড়া জিলাদার পাড়ার রমজান আলী সোমবার রাতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খিতিশ চন্দ্র ভেলু একই মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

ভেলুর ভাগিনা হৃদয় সরকার বলেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে অসুস্থ হলে ভেলুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে তার মৃত্যু হয়।

মেকানিক জুলফিকার আলী সোমবার সন্ধ্যায় মারা গেলে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হচ্ছে একজনের মরদেহ  

মঙ্গলবার সকাল থেকে সুমন রবিদাস, প্রেমনাথ রবিদাস, রামনাথ রবিদাস, জুলফিকার আলী, পলাশ, আব্দুল জলিল, রমজান আলী, খিতিশ চন্দ্র ভেলু ও সাজুর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

অ্যালকোহল পানে অসুস্থ দেলোয়ার হোসেন রঞ্জুর ভাই মনোয়ার হোসেন রিপন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে শহরের সাতমাথা এলাকার পারুল হোমিও হল, পুনম হোমিও হল ও তিনমাথা এলাকার খান হোমিও হলের পরিচালককে মামলার আসামি করা হয়েছে।

বগুড়া শহরে রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাতে অ্যালকোহল পানের পর সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন শহরের কাটনারপাড়া হটুমিয়া লেন এলাকার চা বিক্রেতা সাজু মিয়া (৫০), বাবুর্চি মোজাহার (৬৫), ফুলবাড়ি এলাকার রিকশাচালক আব্দুল জলিল (৫৬), পুরান বগুড়া এলাকার সুমন রবিদাস (৩২) ও ফুলবাড়ি এলাকার পলাশ (৩৫)।

বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম বলেন, মৃত ১০ জনের ময়নাতদন্ত শেষ। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, অ্যালকোহল পানে বগুড়ায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এএম