চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের প্রতীক আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন সিপিবি ও কৃষক সমিতির নেতা আবুল হাসিম (৬৫)। এক মাস হলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

গত ৭ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের দিন কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজের এক মাস দুই দিন পরও তার সন্ধান না পাওয়ায় উৎকণ্ঠিত তার পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা। পরিবার, স্বজন ও পার্টির নেতাকর্মীদের আশঙ্কা, তিনি কোনো প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে অপহরণ, গুম কিংবা খুনের শিকারও হয়ে থাকতে পারেন।

নিখোঁজ সিপিবি ও কৃষক সমিতির নেতা আবুল হাসিমের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের তেঁতুইতলা গ্রামে। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই আবদুর রহমান কটিয়াদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আবদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, নিখোঁজের পরে এলাকায় মাইকিং এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার পাশাপাশি কটিয়াদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস পার হলেও আমার ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জেলা সিপিবির সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের তেঁতুইতলা গ্রামের বাসিন্দা মৃত শহর আলীর ছেলে আব্দুল হাসিম (৬৫) ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে তার গ্রামের এক সদস্য প্রার্থীর সঙ্গে গত ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ উপলক্ষে উপজেলা সদরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে তিনি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন।

কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, জিডির সূত্র ধরে আবুল হাসিমকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তিনি মোবাইল ব্যবহার না করায় কিংবা তার সঙ্গে কোনো মোবাইল সেট না থাকায় তার সর্বশেষ স্থান স্ট্রেস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাকে উদ্ধারে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার কারণে চান্দপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন-চান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধীন তেঁতুইতলা এলাকার ভোট কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

এসকে রাসেল/এনএ