সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের চুনা নদীর তীরে ৪০ হাত স্থান জুড়ে বাঘের হেঁটে চলার চিহ্ন দেখা গেছে। এতে আট বছর পর লোকালয়ে আবারও বাঘের আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বন বিভাগ বলছে, সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হুদা মালী জানান, ২-৩ দিন আগে চুনা নদীর তীরে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখা যায়। চুনা নদীর ওপারে সুন্দরবন। ধারণা করা হচ্ছে, সুন্দরবন থেকে নদী সাঁতরে বাঘটি লোকালয়ে চলে আসে। এরপর আবারও সুন্দরবনে ফিরে যায়। এতে ওই এলাকায় বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, সুন্দরবনের মধ্যে বাঘ রোদ পায় না, সেকারণে শীতকালে বাঘ বেশি বিচরণ করে। রোদ পোহানোর জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে আসে। এমনকি সুন্দরবন থেকে লোকালয়েও চলে আসার সম্ভাবনা থাকে। উপকূলীয় জনপদের মধ্যে চুনা নদীর তীরে যে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে সেটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা। বাঘটি নদী পার হয়ে এসে আবার জঙ্গলে চলে গেছে। 

তিনি বলেন, এ ঘটনায় উপকূলীয় এলাকার সকলকে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিপিআরটি) ও কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপের (সিপিডি) মাধ্যমে ওই এলাকায় ২৪ ঘণ্টা টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সচেতনমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। সাত থেকে আট বছর পর সাতক্ষীরা উপকূলে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখা গেল। বিভিন্ন সময় জেলে বাওয়ালিদের ওপর বাঘের আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে। এতেই ধারণা করা হচ্ছে, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর