কুমিল্লায় নারীর ফাঁদ পেতে র‍্যাব পরিচয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নারীসহ ৫ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন।

গ্রেফতাররা হলেন, জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর্থা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫), আড়াইওড়া গ্রামের মুছা মিয়ার মেয়ে হাসি আক্তার (২৪) ও তার আপন ছোট বোন মিন্নি আক্তার (১৮), সদর দক্ষিণ উপজেলার দিশাবন্দ গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে জুম্মন মিয়া (২৫), জেলার চান্দিনা থানার অম্বলপুর গ্রামের মৃত আলী আজগরের মেয়ে জোসনা আক্তার (২৫)।

সিপিসি-২ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন জানান, গত ৬ জানুয়ারি এক ভুক্তভোগী মৌখিকভাবে র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেন। 

ওই ভুক্তভোগী র‍্যাবকে জানান, র‌্যাব পরিচয়ে একটি প্রতারক চক্র তার কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৩ নারী সদস্যসহ মোট পাঁচজনকে আটক করে র‍্যাব।

মেজর মো. সাকিব আরও জানান, অনুসন্ধান ও গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতারক চক্রের সদস্য জুম্মন মিয়া মাছ ব্যবসায়ী। এ সুবাদে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলত সে। পরবর্তীতে সহজ-সরল ব্যক্তিদের টার্গেট করে নারীর প্রলোভন দেখাত এবং সরবরাহ করত। পরে চক্রের নারী সদস্য ও ভুক্তভোগী পুরুষকে একান্তে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করত। জুম্মনসহ অন্য সদস্যরা একান্তে কাটানো মুহূর্তের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করত। পরে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনিয়ে নিত।

এ ছাড়া পরবর্তীতে স্থিরচিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধাপে ধাপে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত তারা। 

তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগীরা মান-সম্মানের ভয়ে বিষয়টি অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারত না। ফলে বাধ্য হয়ে তাদেরকে টাকা প্রদান করত। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

অমিত মজুমদার/আরআই