ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও মালিকপক্ষের অধিক মুনফার লোভ দায়ী। এ ছাড়া মানুষকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের যে বিষয়গুলো থাকার কথা সেখানে পুরোপুরি অনিয়ম ছিল। 

বুধবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নদীর নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর বাংলাদেশ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় একটি তদন্তকমিটি গঠন করে গতকাল ঝালকাঠি এসে সুগন্ধা নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটি পরিদর্শন করেছি। অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর চরম অব্যবস্থাপনার জন্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে এমনটাই মনে হয়েছে। এর দায়ভার নৌ কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে এড়াতে পারে না। এ ঘটনায় চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে আরও ৭ দিন সময় লাগবে। ঘটনায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনারও দাবি করছি।

এ ছাড়াও নৌ দুর্ঘটনায় নিহতের স্মরণে ২৩ মে নৌ-নিরাপত্তা জাতীয় দিবস করার প্রস্তাবসহ ১৬ দফা দাবি জানান।

স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন- নোঙর বাংলাদেশের আহবায়ক সুমন শামস, সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস ও সদস্য সোহাগ মহাজন। এ সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্তসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশতাধিক এবং আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই