আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সেই অসহায় দম্পতি পেলেন রঙিন ঘর
অবশেষে নতুন ও রঙিন ঘর পেলেন সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের ফজল-তানিয়া দম্পতি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দ্য বার্ড সেফটি হাউস’ তাদের এ ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মেরামতকাজ শেষে ফজল হোসেন ও তানিয়া দম্পতির কাছে ঘরটি হস্তান্তর করেন দ্য বার্ড সেফটি হাউসের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবী সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে যায় সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের ফজল-তানিয়া দম্পতির থাকার একমাত্র ঘরসহ সবকিছু। এরপর থেকেই অন্যের বাড়িতে রাত কাটাচ্ছিলেন তারা।
বিষয়টি নজরে আসে স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাসের। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ফেসবুক বন্ধুদের সহযোগিতায় এই দম্পতিকে নতুন ঘর দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি তাদের দেওয়া হয়েছে লেপ-তোশক, থাকার চৌকি, শীতের পোশাক, রান্নার জন্য হাঁড়ি-পাতিল, খাদ্যসামগ্রী ও কাঁচাবাজারসহ সাড়ে সাত হাজার টাকা।
বিজ্ঞাপন
নতুন রঙিন ঘর পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ফজল হোসেন বলেন, আমি এমনিতেই অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতাম। তার ওপর আগুনে ঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে আমি নতুন রঙিন ঘর পাব। তাও আবার এত তাড়াতাড়ি। শুধু ঘর নয়, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকাও পেয়েছি। আমি খুব খুশি হয়েছি। যতদিন বেঁচে থাকব, সংগঠনের সবার জন্য দোয়া করব।
দ্য বার্ড সেফটি হাউসের চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে জানান, অসহায় ফজল-তানিয়া দম্পতির আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বিস্তারিত ভিডিওসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিই। ফেসবুকের কল্যাণে সংগৃহীত ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে খুব দ্রুত ঘর নির্মাণকাজ শেষ করে আজ তাকে ঘরটি বুঝিয়ে দিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের সমাজে কোনো মানুষ অবহেলিত থাকবে না। আমাদের সবাইকে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসা দরকার। আমি শুধু চেষ্টা করি, ফেসবুক বন্ধুরা এগিয়ে আসে বলেই প্রতিটি মানবতার কাজে জয় হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সদস্য শামীম রেজা, স্বেচ্ছাসেবী জিল্লুর তালুকদার, আব্দুর রহিম, ইসমাইল হোসেনসহ স্থানীয় যবুকরা।
শুভ কুমার ঘোষ/এনএ