সাতক্ষীরায় আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা মামলার রায় ঘিরে সাতক্ষীরায় আ.লীগ- বিএনপি পাল্টাপাল্টি মিছিল
সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করে মিষ্টি বিতরণ করেছেন এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা রায়কে প্রত্যাখ্যান করে শহরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
বিজ্ঞাপন
আনন্দ মিছিলে অংশ নেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে মিষ্টি বিতরণ করেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুনির হোসেন জানান, এই রায়ের মাধ্যমে সাতক্ষীরা আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।
বিজ্ঞাপন
আসামি পক্ষের আইনজীবী সাহানারা পারভীন বকুল বলেন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঘটনার দিন সাতক্ষীরাতে ছিলেন না। আমরা পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট আদালতে উপস্থাপন করার পরও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। সকলে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য এই রায় দিয়েছে। মামলার রায়ে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। উচ্চ আদালতে আমরা অবশ্যই ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করি।
মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সকাল ১০.৫ মিনিটে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে ৩৪ আসামিকে নেওয়া হয় সাতক্ষীরা আদালতে। এরপর রায় ঘোষণা শেষে সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আমি নির্দোষ। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি ন্যায় বিচার পাইনি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫০ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় কলারোয়া থানা পুলিশ।
আকরামুল ইসলাম/এসপি