জানুয়ারির শুরু থেকে ফের বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। গত সাত দিনে ময়মনসিংহ জেলায় শনাক্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। যার বড় অংশই ময়মনসিংহ সিটি ও সদর এলাকার। করোনার এই সংক্রমণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন।

ইতোমধ্যে জনসমাগম কমাতে নগরীর দুই বিনোদন কেন্দ্র জয়নুল উদ্যান ও বিপিন পার্কে প্রবেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত, করা হচ্ছে জরিমানা। 

জনসচেতনতা তৈরিতে এবার নিজেই রাস্তায় নামলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি নগরীর ব্যস্ততম এলাকা গাঙ্গিনারপাড় মোড়ের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে বিতরণ করেছেন মাস্ক, সবার মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন সচেতনতার বার্তা। 

এ সময় রাস্তায় ও দোকানে থাকা অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইতেই তারা নানা অযুহাত উপস্থাপন করেন মেয়রের সামনে। জবাবে মেয়র টিটু বলেন, আমাকে না হয় আপনারা ফাঁকি দিচ্ছেন কিন্তু করোনাকে ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। করোনা মোকাবিলায় সচেতনতার বিকল্প নেই। নিজে অসচেতন থাকলে নিজের পাশিপাশি একসঙ্গে অনেকের বিপদ সামনে নিয়ে আসবেন। এই মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। 

নগরী ১১টি জনবহুল স্থানে একযোগে সচেতনতামূলক এই মাস্ক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। গাঙ্গিনারপাড় ট্রাফিক মোড় থেকে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু। এ সময় তিনি বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত মাস্ক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে আসছে সিটি করপোরেশন। ইতোমধ্যে প্রায় চার লাখ মাস্ক বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। যা অব্যাহত থাকবে। 

ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে সিটি করপোরেশনের প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা অন্নপূর্ণা দেবনাথ, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন জানায়, গাঙ্গিনারপাড় ছাড়াও নগরীর চরপাড়া, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড, পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, শম্ভুগঞ্জ বাজার, টাউন হল মোড়, নতুন বাজার, রেল স্টেশন মোড়, জিরো পয়েন্ট, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এবং বাকৃবি শেষ মোড়েও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা এ ক্যাম্পেইনে মাস্ক বিতরণ করেন। ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে ৩০ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

উবায়দুল হক/আরএআর