সারাহ রিসোর্টে মদ সরবরাহের অভিযোগে একজন আটক
গাজীপুরের শ্রীপুরে সারাহ রিসোর্টে মদপানে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মোহাম্মদ জাহিদ মৃধা (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
আটক জাহিদ মৃধা বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার আমবৌলা এলাকার মৃত আলী মৃধার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৮ জানুয়ারি এশিয়াটিক মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন ফোরথট পিআর নামক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ৪৩ জনের একটি দল সারাহ রিসোর্টে বেড়াতে আসে। তারা ৩০ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা ফেরার পথে অন্তত ১৬ জন শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করলে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ওই রাতেই কাইছার আহম্মেদ, পরদিন ৩১ জানুয়ারি সকালে সিহাব জহির এবং ১ ফেব্রুয়ারি সকালে এ কে এম শরিফ জামান ভূঁইয়া মারা যান। এ বিষয়ে সারাহ রিসোর্ট এবং এশিয়াটিক কর্তৃপক্ষের নীরবতা বা গোপনীয় মনোভাবের কারণে গাজীপুর জেলা পুলিশের তদন্ত নামতে কিছুটা বিলম্ব হয়।
বিজ্ঞাপন
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুলিশের তৎপরতায় মৃতদের মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের মাধ্যমে সারাহ রিসোর্টে অবস্থানকালে বিষাক্ত মদপানের বিষটি প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয়। ওই ঘটনায় মদপানে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হলে তদন্ত তৎপরতা পায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশের ওসি নিতাই চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকা থেকে জাহিদ মৃধাকে আটক করেন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম আরও জানান, আটক জাহিদ মৃধা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মদ সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মিল্টন খন্দকার/আরএআর