নাতির কান্না থামানো হলো না আলালের
প্রতীকী ছবি
শুক্রবার সন্ধ্যা। হঠাৎ কেকের জন্য বায়না ধরে কান্না শুরু করে নাতি। নানাও নাতির কান্না থামাতে বাড়ির পাশের মুদি দোকানে ছুটে যান কেক আনতে। কিন্তু কেক কিনে বাড়ি আর ফিরতে পারেননি আলাল উদ্দিন।
বাড়িতে ফেরার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জজ মিয়া বাঁশের লাঠি দিয়ে আলাল উদ্দিনের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে। এতে লুটিয়ে পড়েন আলাল উদ্দিন (৬০)। পরিবার ও আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত আলাল উদ্দিন উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের উত্তর পাইকশা গ্রামের মৃত আব্দুস ছমেদের ছেলে।
এদিকে, আলাল উদ্দিনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ জজ মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে। জজ মিয়া উত্তর পাইকশা গ্রামের মৃত মুহির উদ্দিনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
নিহত আলাল উদ্দিনের জামাই মোহাম্মদ আলী আকবর বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার শ্বশুর নাতির কান্না থামাতে বাড়ির পাশে মুদির দোকানে কেক কিনতে যায়। ফেরার পথে জজ মিয়া তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। জজ মিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় জড়িত জজ মিয়া নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
এসকে রাসেল/এসপি