নাটোরে চেয়ারম্যানকে চড় মারার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

সালিশে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে চড় মারার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন সবুর, জামাল ও কামাল। তাদের বাড়ি উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামার পাথুরিয়া রায়পুর গ্রামে।

গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

এদিকে, হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টায় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ চাঁচকৈড় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. আনিসুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী অভিযোগ করে বলেন, সংসদ সদস্য কুদ্দুস পৌর নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবকে বিদ্রোহী হিসেবে দাঁড় করান। এতে বিপ্লব বিপুল ভোটে পরাজিত হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালানো হয়। সংসদ সদস্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন।  

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. আনিসুর রহমান, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আ.লীগের উপকমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সদস্য আহম্মদ আলী, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান শাহ, জেলা পরিষদের সদস্য সরকার মেহেদী হাসান প্রমূখ। এ সময় ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁচকৈড় বাজারে বিক্ষোভও করেন নেতাকর্মীরা।

হামলার শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, খামারপাথুরিয়ার কবরস্থানের পাশে একটি পুকুর খননকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠক ছিল। সেখানে তিনি উপস্থিত হন। বৈঠকের এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের সমর্থক সবুর মিয়াসহ বেশ কয়েকজন তার ওপর চড়াও হয়। সংসদ সদস্যের বরাত দিয়ে তারা তাকে গালাগাল দেয় এবং মারপিট করে। পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় সংসদ সদস্য কুদ্দুস তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সেই সূত্র ধরেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। 

এদিকে, নাটোর জেলা আ.লীগের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করতেই অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সালিশে চেয়ারম্যানকে চড় মারার ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে তার দুলাভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থক ৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। 

তাপস কুমার/এসপি