বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট বিমানবন্দরে তিনি এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
লালমনিরহাটে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রমও ২০২০ সালে শুরু হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বৈমানিক, বিমান প্রকৌশল ও মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শুরু হবে
বিজ্ঞাপন
এ সময় বিমান বাহিনীর প্রধান বলেন, এটি একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, যা বাংলাদেশে এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস-সম্পর্কিত প্রথম ও একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দক্ষ বৈমানিক, বিমান প্রকৌশল, বেসরকারি বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে সব স্থরের দক্ষ জনবল, বিমান তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের সব স্তর, মহাকাশ-সম্পর্কিত উচ্চশিক্ষা, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদানে এই বিশ্ববিদ্যালয় জনশক্তি উৎপাদনে কাজ করে যাবে।
তিনি আরো বলেন, লালমনিরহাটে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রমও ২০২০ সালে শুরু হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বৈমানিক, বিমান প্রকৌশল ও মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
২০২১ শিক্ষাবর্ষে লালমনিরহাটে পাঁচটি বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে জানান তিনি। বিষয়গুলো হচ্ছে বিএসসি ইন অ্যারো স্পেস, বিএসসি ইন অ্যাভিওনিকস, বিএসসি ইন এমই, বিএসসি ইন ইইই, বিএসসি ইন সিএসই।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজজুল হক, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও যুগান্তকারী পদক্ষেপের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। সেই লক্ষ্যে এশিয়ার বৃহত্তম বিমানবন্দরখ্যাত পরিত্যক্ত লালমনিরহাট বিমানবন্দরকে নির্বাচন করা হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে ভবন নির্মাণ শুরু করে সরকার।
এনএ