ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বিওসি ঘাটে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের হাটে স্বাভাবিকের চেয়ে দাম কিছুটা বেড়েছে। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই ধানের দরে ঊর্ধ্বগতি। মূলত হাটে ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ধানের দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাট পরিদর্শন করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী। এ সময় তিনি ধানের বেপারি ও চালকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে হাটে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বিআর-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৩৬০ টাকা দরে, বিআর-২৯ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকায়। আর বিআর-৪৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১১৭০ থেকে ১১৮০ টাকা দরে। প্রত্যেক জাতের ধানে মণপ্রতি ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চালকল মালিকরা। এর ফলে ধান থেকে চাল তৈরিতেও মিল মালিকদের খরচ বাড়ছে।

হাট পরিদর্শন শেষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, খাদ্য বিভাগ থেকে ধান এবং চালের বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। মূলত এখন ধানের মৌসুম না হওয়ায় হাটে ধানের সরবরাহ তুলনামূলক কম। এজন্য বাজার দরে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারপরও মনিটরিং করা হচ্ছে- কেউ যেন কৃত্রিমভাবে দাম না বাড়াতে পারে।

আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস