গ্রেফতার জাহিদুল ইসলাম

রংপুরের পীরগাছায় চুরির অপবাদ দিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার জাহিদুল উপজেলার নবু পাঠানপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি পেশায় গ্রাম্য পশু চিকিৎসক। 

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ। 

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নবু পাঠানপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী সাবিনা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে কৌশলে তার ছেলে আবু জাহিদকে ঘরের বাইরে ডেকে নেন। পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশু জাহিদকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী বানেছা বেগমের বাড়িতে একটি ঘরে আটকে রেখে শিশুটির ডান হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুঁচ দিয়ে নির্যাতন করে। 

এ ঘটনায় শিশু আবু জাহিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। 

নির্যাতনের শিকার ১২ বছর বয়সী শিশু আবু জাহিদ সাতদরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করায় জাহিদের মা সাবিনা বেগম বাদী হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগাছা থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আসামি জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। মামলার অপর আসামি বানেছা বেগম ও আশরাফুল ইসলাম এখনো গ্রেফতার হয়নি। 

এদিকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি, এটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন না করতে অনুরোধ করেন জাহিদুলের পরিবার। 

থানায় অভিযোগ দায়ের ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় অন্নদানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আকবর আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। 

রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই