নেত্রকোনায় স্ত্রী নাছরিন আক্তারকে হত্যার অপরাধে মিলন মিয়া (৩০) নামের এক স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নেত্রকোনা জেলা দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিলন মিয়া জেলার বারহাট্টা উপজেলার বৃ-কালিকা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মিলন মিয়া ২০১৬ সালে নরসিংদী জেলায় একটি ফ্রিজের দোকানে চাকরি করার সুবাধে ওই জেলার শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে নাছরিন আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি তারা বিয়ে করেন। পরে মিলন মিয়া স্ত্রী নাছরিন যৌনকর্মী, এমন খবর জানতে পারেন।

সেই থেকে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং নাছরিনকে প্রায়ই মিলন মারধর করতেন। একদিন মিলন পরিকল্পনা করে নাছরিনকে প্রথমে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে এবং পরে তাকে জবাই করে হত্যার পর মরদেহ ধানখেতে ফেলে রাখেন।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোলায়মান হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে মিলন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে একই বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় আদালত সাক্ষী-প্রমাণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল কবীর রুবেল এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইফতেখার উদ্দিন আহাম্মদ।

এ বিষয়ে পিপি ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজে মানুষকে আইনের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ