উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী

যশোরের মণিরামপুরে ত্রাণের চাল চুরির মামলায় এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

করোনা মহামারির মধ্যে গেল বছরের ৪ এপ্রিল খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে যশোরের মণিরামপুরের উদ্দেশে পাঁচ ট্রাক সরকারি ত্রাণের চাল আসে। যার মধ্যে এক ট্রাক চাল গোডাউনে লোড না দিয়েই স্থানীয় ভাই ভাই রাইস মিলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা চাল উদ্ধার এবং মিলমালিক ও ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, এই চালের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এসআই তপন কুমার সিংহ বাদী হয়ে কালোবাজারির মাধ্যমে চাল মজুতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় আটক দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে তারা মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। তদন্ত শেষে ওই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ৫৪৯ বস্তা চাল ত্রাণের। ওই চাল ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চু বেশি মুনাফার লোভে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। যার দাম ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রথমে উত্তম কুমার চার লাখ টাকা নিয়েছেন পরে আরও ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন জুড়ানপুর গ্রামের একুব্বর মোড়লের ছেলে কুদ্দুস, রবিন দাসের ছেলে জগদীশ দাস, তাহেরপুর গ্রামের মৃত সোলাইমান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম, বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে চালকল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও খুলনা দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা গ্রামের রতন হাওলাদারের ছেলে ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদার।

জাহিদ হাসান/এনএ