পোশাক শিল্পের উন্নয়ন ও বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শিল্প-একাডেমিয়া এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্কের (ইআইএফ) সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বুধবার (২৩ মার্চ) প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আলোচনা করে এ সহযোগিতা চাওয়ার কথা জানায় বিজিএমইএ। সংগঠন দুটির থেকে সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিজিএমইএ গুলশান অফিসে কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক পিটার লুন্ড-থমসেন এবং ডারহাম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গ্যাভিন ব্রিজের সঙ্গে বিজিএসইএর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মিরান আলী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান পোশাক শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ করে শিল্পে সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্প-একাডেমিয়া সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, শিল্পের পরিবর্তনশীল গতি-প্রকৃতির জন্য এখন শিল্প-একাডেমিয়ার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে বেশি।

অধ্যাপকরা বিজিএমইএ সভাপতিকে জানান, কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল, ডারহাম ইউনিভার্সিটি এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ করে জলবায়ু কার্যক্রমের ওপর একটি গবেষণা পরিচালনা করছে, যার অর্থায়ন করছে ডানিডা ফেলোশিপ সেন্টার। তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের একাডেমিক রেফারেন্স ডকুমেন্টেশন তৈরি করতে বিজিএমইএ’র সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন।

এ গবেষণায় তারা নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং সবুজ শিল্পায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের অর্জনগুলো নথিভুক্ত করতে চান।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক শিল্প নিরাপদ কর্মক্ষেত্র, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, তবে শিল্পের এ উৎসাহব্যাঞ্জক গল্পগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই বিশ্ববাসী এখনও ভালোভাবে জানে না। এখানে শিল্প-একাডেমিয়ার সহযোগিতা শিল্পের এসব সাফল্যের গল্পগুলো নথিভুক্ত করে শিল্প সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক ও নেতিবাচক ধারণার অবসান ঘটাতে এবং সেই সঙ্গে অন্যদের শিল্পের অনুকরণীয় পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

তিনি অধ্যাপকদের বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে গবেষণা পরিচালনার জন্য বিজিএমইএ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন। ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এর আগে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্কের (ইআইএফ) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। ইআইএফ’র নির্বাহী পরিচালক রত্নাকর অধিকারীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইআইএফ’র সিনিয়র সমন্বয়কারী হ্যাং টি.টি. ট্রান এবং আঞ্চলিক পোর্টফলিও ম্যানেজার ডেভিড ডেপ।

এ সময় এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড কমপিটিটিভনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (টায়ার-২) প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের ডিজি উপস্থিত ছিলেন।

এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক পোশাক শিল্পের সম্ভাব্য কোন কোন ক্ষেত্রে বাণিজ্যে নেগোসিয়েশন সক্ষমতা এবং রপ্তানিতে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেন।

এমআই/এসএসএইচ