ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ ও শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোং লিমিটেডসহ নতুন ১২টি ট্রেকের (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) অনুমোদন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

১২টির মধ্যে একটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেক আর বাকি ১১টি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ট্রেক।

ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা, ২০২০ যথাযথভাবে পরিপালন না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেকের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি ডিএসই ও সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ লিমিটেড (ডিএসই), বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই), শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোং লিমিটেড (সিএসই), মার্চেন্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই), এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (সিএসই), ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ লিমিটেড (সিএসই), কলম্বিয়া শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ (সিএসই), বিপ্লব হোল্ডিংস লিমিটেড (সিএসই), বিনিময় সিকিউরিটিজ (সিএসই), বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (সিএসই), ম্যাট্রিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই) এবং ডিপি৭ (সিএসই)।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০ এর বিধি ৩(২) এবং ৪(৭) পরিপালন না করার কারণে ডিএসই ও সিএসইর নতুন ১২টি ট্রেকের অনুমোদন বাতিল করা হলো।

নিয়ম অনুযায়ী ট্রেক নেওয়ার আগে দরখাস্তকারী নিবন্ধন ফিস বাবদ ১ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জের অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। কিন্তু তারা তা করেনি। একই সঙ্গে ট্রেকের জন্য ডিপোজিট ফি বাবদ ৩ কোটি টাকাও জমা দেয়নি। ফলে এসব বিধি-বিধান পরিপালন না করায় ট্রেক অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।

সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিয়ম পালন না করায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ট্রেক অনুমোদন বাতিলের জন্য বিএসইসির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বিএসইসি প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেক অনুমোদন বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এমআই/এসএসএইচ