ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে ৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। যে কারণে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দার পরিচালক সায়মা পারভীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এমন ভ্যাট ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে আসে।  

ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রায় ৩৫.১৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করে। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় আজ ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে নানা ধরনের জালিয়াতি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে, যা ভ্যাট আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, মেসার্স ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক সায়মা পারভীনের নেতৃত্বে একটি দল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নথি যাচাই-বাছাই করে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল তদন্তের স্বার্থে দলিলাদি দাখিলের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে তলবও করে। এছাড়া দাখিলকরা বার্ষিক সিএ রিপোর্ট, প্রতিবেদন, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে ট্রেজারি চালান যাচাই করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য বিমার ওপর ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৪১১ টাকা। ২ শতাংশ সুদসহ মোট ফাঁকি দেওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৮ টাকা।

এছাড়া তদন্তে উৎসে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ হলো ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৯ টাকা। অন্যদিকে তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির স্থান ও স্থাপনার  ভাড়ার  বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাট সুদসহ ২ কোটি ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮১ টাকা হয়। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি মোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৭৩৩ টাকা। তদন্তে উদ্ঘাটিত ভ্যাট আদায়ে আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা উত্তরে পাঠানো হবে বলেও জানায় ড. মইনুল খান। 

আরএম/এসএম