গ্লোবাল বিজনেস অ্যান্ড সিএসআর অ্যাওয়ার্ড-২০২১ গ্রহণ করছেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান

করোনাকালীন কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পখাতে অবদান রাখায় ‘গ্লোবাল বিজনেস অ্যান্ড সিএসআর অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিসিকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে ‘গ্লোবাল বিজনেস অ্যান্ড সিএসআর অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিসিক চেয়ারম্যানের হাতে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। সেসব ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে এ স্বীকৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (বিএসিসি) ও ইয়ুথ কমার্স কমিউনিকেশন ইন্টারন্যাশনাল (ওয়াইসিসিআই)।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ডা. শাহজাহান মাহমুদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ইয়ুথ কমার্স কমিউনিকেশন ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট কামাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আলীম প্রমুখ।

করোনার প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ শিল্প কারখানাই কয়েক মাস বন্ধ ছিল। কিন্তু বিসিকের সার্বিক সহায়তায় বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত শিল্প ইউনিটগুলো নিয়মিতভাবে করোনা প্রতিরোধকমূলক পণ্য (মেডিকেল অক্সিজেন, পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক), চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, সুজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, কৃষি যন্ত্রাংশ, কীটনাশক, সার উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রাখে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা ঘোষণা করেন। সে আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিসিকের ৭৬টি শিল্পনগরীতে অবস্থিত ইউনিটগুলোতে পণ্য উৎপাদন, মাঠে লবণ চাষ ও মিলগুলোতে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন এবং ট্যানারিগুলোতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত অব্যাহত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বিসিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন অবস্থায়ও উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কাজ করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিসিক শিল্পনগরীর শিল্প মালিকদের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয় সব ধরনের সার্ভিস চার্জ ও বিসিকের নিজস্ব তহবিল ঋণের কিস্তি আদায়। প্রণয়ন করা হয় বিসিক শিল্পনগরী ও লবণ মিলের জন্য অনুসরণীয় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রোটোকল। বিসিকের প্রতিটি কার্যালয়ে স্থাপিত হয় হেল্পডেস্ক।

শিল্পখাতের অংশীজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন, শিল্পখাতভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণপ্রাপ্তি সহজ করার বিষয়ে সুপারিশ, ঋণপ্রাপ্তিতে ব্যাংক ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, মাইক্রো ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার জন্য সিড মানির প্রস্তাব, জেলা পর্যায়ে শিল্প ঋণ বিতরণ ও মনিটরিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে অনলাইন সভা এবং রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে শিল্প উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিসিক।

এসআই/এমএইচএস