২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি-সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ প্রস্তাব করছি। সিগারেটের নিম্নস্তরের দশ শলাকার দাম ৪০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করছি। আগের বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৯ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্য করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে, মধ্যমস্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৫ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চস্তরের ১০ শলাকার দাম ১১১ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং এ তিন স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। আগের বছর মধ্যমস্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চস্তরের ১০ শলাকার দাম ১০২ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি উচ্চস্তরের ১০ শলাকার দাম ১৩৫ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং এ তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ছিল ৬৫ শতাংশ।

বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগের বছরের ন্যায় যন্ত্রের সাহায্য ব্যতিত হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও ৮ শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও দশ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি। 

এমআই/আরএইচ