আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমে যাওয়ার প্রভাবে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেলের দাম মণপ্রতি কমেছে ২৫০ টাকা। আর পামওয়েলের দাম কমেছে মণপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতিমণ ৪০ কেজির পরিবর্তে হিসাব করা হয় ৩৭ দশমিক ৩২ কেজি।

খাতুনগঞ্জে তেলের অন্যতম শীর্ষ পাইকারি ব্যবসায়ী আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন,  খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৩০০ টাকায়, আর পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৪০০ টাকায়। পামওয়েল এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কমেছে। আর সয়াবিন তেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২৫০ টাকা।

আরও পড়নু>> সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১৪ টাকা

সামনে তেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, সম্ভাবনা আছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমছে। বুকিং রেট কমার কারণেই তেলের দাম কমেছে। বুকিং করা মালগুলো দেশে এলে তেলের দাম আরও কমে আসবে। কারণ এগুলোর ক্রয়মূল্য তো কম হবে। 

এদিকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়াতদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। এখানে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য বেচাকেনা হয়। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় এখানেও কমেছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে এখানেও বাড়বে। তবে খুচরা বাজারে এখনও তেলের দাম তেমন কমেনি। 

তিনি বলেন, গত একমাস ধরে খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের দাম কমছে। পাইকারিতে পামওয়েল মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৩৮০ টাকায়। আর সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৩৫০ টাকায়। সামনে ভোজ্যতেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে। আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে কমে গেলে এখানেও আরো কমবে।

আরও পড়ুন>> দাম কমল সয়াবিন তেলের

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৩ টাকা। তবে আদার দাম কিছুটা বেড়েছে। আর রসুনের দাম স্থিতিশীল। 

হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকা করে। এ বাজারে দেশি পেঁয়াজ কম, ভারতীয় পেঁয়াজ বেশি। ৮-১০ দিন আগে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৬ থেকে ৩৭ টাকায়। পেঁয়াজের দাম আপাতত কমার সম্ভাবনা নেই। তবে বাজার এখনও স্থিতিশীল হয়নি। পেঁয়াজের দাম ভারতীয় বাজারের উপর নির্ভর করবে। ভারত থেকে আমদানি পর্যায়ে দাম বাড়লে দেশেও  বাড়বে। 

তিনি বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা করে। আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এখন ৭৫ টাকা। ঈদের আগে ও পরে কিছু খারাপ আদা পড়েছিল। এগুলো ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছিল। তখন আদার দামও কমে গিয়েছিল। আর রসুনের দাম স্থিতিশীল আছে বলা যায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা করে।

কেএম/জেডএস