জ্বালানির মজুত শেষ হয়ে আসছে—  বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমন শঙ্কা  ছড়িয়ে পড়ায় বুধবার (২৭ জুলাই) পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার দুদিন উত্থানের পর আজ দুই বাজারে বড় দরপতন হলো। কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম।

এদিকে, দরপতন ঠেকাতে ফোনকলের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির পক্ষ থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্রোকার হাউজের মালিক, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের কল করে শেয়ার কিনতে বলা হয়।  কিন্তু তাতে দরপতন ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার বিক্রির চাপে দিনভর সূচক পতন হয়েছে। এদিন ২৩ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৫৫টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে।  মোট লেনদেন হয়েছে ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৩৮ কোটি ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে।

এ দিন ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ৩৩৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ১৪ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ দাম কমার শীর্ষে ছিল এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল, মতিন স্পিনিং,এইচ আর টেক্সটাইল, স্কয়ার টেক্সটাইল, পিএসইচপি ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড, মেঘনা সিমেন্ট মিলস, আইএফআইসি ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রহিম টেক্সটাইল ও আলহাজ টেক্সটাইল লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৮০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ২৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২১৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৪ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯১ টাকার শেয়ার।

এমআই/আরএইচ