চীনের বৃহত্তম অনলাইন সংস্থা আলিবাবা গ্রুপের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। চীনা সরকারের তরফ থেকে এ সংস্থার একচেটিয়া ব্যবসা রুখতে একটি তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে চীনের দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তি শিল্পের ওপর দেশটির কর্তৃপক্ষের কঠোর হওয়ার দৃশ্যপট সামনে এলো।  

চীনের বাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আলিবাবা যে নীতির আওতায় তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের বাজারের অন্যান্য প্রতিযোগিদের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে আসা ঠেকিয়ে দেয়, সেটার বিষয়ে তারা নজর দিচ্ছে।  

তবে এর বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। কখন কী হবে, আলিবাবা কি শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে সেসব বিষয়ে ও কিছু বলা হয়নি। 

আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা চীনের অন্যতম শীর্ষ ধনী জ্যাক মার ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারের অসন্তোষ লক্ষ করা যাচ্ছে। নভেম্বরে জ্যাক মার আর্থিক প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়ালের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব আসার কথা ছিল শেয়ারবাজারে। তবে নীতিগত পরিবর্তন লুকানোর অভিযোগে সাংহাই শেয়ারবাজার অ্যান্ট গ্রুপের লিস্টিং স্থগিত করে। 

চীনা নেতারা আগেই বলেছিলেন, আগামীবছর এই একচেটিয়া কারাবার ঠেকানোটাই হবে তাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দৃশ্যত তার বাস্তবায়ন ঘটবে আলিবাবা ও অন্যান্য অনলাইন সংস্থাগুলোর একচেটিয়া কারাবারের বিষয়ে কঠোর হওয়া, যারা অর্থ, স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায় নিজেদের বলয় বাড়াচ্ছে। 

আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা চীনের সবেচেয়ে ধনী উদ্যোক্তা ও দেশটির অন্যতম পরিচিত মুখ। 

আলিবাবার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চীনা কর্তৃপক্ষের চাপ বাড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। হংকং ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আসার কথা ছিল অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়ালের। কিন্তু চীনের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধায় ওই আইপিও আর বাজারে আসেনি। 

বৃহস্পতিবার আলিবাবার একচেটিয়া কারবারের বিষয়ে তদন্তের কথা জানানোর পাশপাশি পৃথক আরও একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়ালের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। 

বেচাবিক্রির হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইকমার্স কোম্পানি আলিবাবাকে ও আরও একটি কোম্পানিকে চলতি মাসের মাঝামাঝি জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছিল।  

সূত্র : এপি। 

এনএফ