বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৪ জন। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৬ জনে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন অন্তত ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জন। 

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৬৯ জন মারা গেছেন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ পর্যন্ত ১ কোটি ৮৯ লাখ ১৫ হাজার ১৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৪ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৮ জনের।  

নতুন ধরন এখন নতুন উদ্বেগ 
করোনার মহামারির শুরুর দিকে ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউনসহ নানা পদ্ধতি নেয়া হয়। এরপর ধীরে ধীরে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গিয়ে জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক ধারায় ফেরে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন একটি ধরন মেলার পর আবার নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এ ভাইরাস নিয়ে। যে টিকা নিয়ে করোনামুক্তির আশা জেগেছিল প্রশ্ন উঠছে করোনার নতুন ধরনের সাথে পেরে উঠবে কি-না ওই টিকা। এবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছিলেন যে , করোনার নতুন ধরন ভাইরাস বিবর্তনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
 
বাংলাদেশের সর্বশেষ 
স্বাস্থ্য অধিদফতর গতকাল বুধবার দেশে আরও ৩০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো সাত হাজার ৩৫৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৬৭ জন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ চার হাজার ৮৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন আগামী সপ্তাহে
জরুরি ব্যবহারের জন্য আগামী সপ্তাহেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার অনুমোদন দিতে পারে ভারত সরকার। সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। ভারতে ওই টিকার প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছেও অতিরিক্ত কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। 

সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার পর সেই তথ্য জমা দিয়েছে সংস্থাটি। সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে পাওয়া তথ্যে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট।

এনএফ