শপিং মল বন্ধ থাকবে, অনলাইনে চলবে বেচাকেনা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় যাচ্ছে দেশ। এই সাত দিন শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শপিং মল বন্ধ থাকলেও অনলাইনের মাধ্যমে পাইকারি ও খুচরা পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে দোকানগুলো। সেক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা সাত দিনের বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকানগুলো পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং অন্য কোনো শহরে যেতে পারবে না।
বিজ্ঞাপন
এতে আরও বলা হয়েছে, খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না। এছাড়া কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে।
যদিও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি দিনে অন্তত চার ঘণ্টা শপিং মল খোলা রাখার দাবি জানিয়েছিল। এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন বৈশাখ ও রোজার ঈদে ব্যবসা করার জন্য। এ সময়ে বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। দোকানপাট পুরো বন্ধ করা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।
রোববার (৪ এপ্রিল) লকডাউনের বিষয়টি উল্লেখ না করে সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন নির্দেশনা দেয়। যেখানে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১১ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরএম/আরএইচ