বাণিজ্যিকভাবে সোনালী ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ
বাণিজ্যিকভাবে সোনালী ব্যাগ উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান।
তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) যথাযথ নির্দেশনা এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের সোনালী ব্যাগ প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে সরজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বিজেএমসির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) জিল্লুর রহমান চৌধুরী, সোনালী ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেনের উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনের সময় সোনালী ব্যাগ প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমদ খান প্রকল্পের কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক ও অগ্রগতি সম্পর্কে সচিবকে অবহিত করেন। সোনালী ব্যাগ পরিবেশবান্ধব ও প্রচলিত ব্যাগের চেয়ে শক্তিশালী হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এর চাহিদা রয়েছে। তাই সোনালী ব্যাগ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজ্ঞাপন
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশি বিজ্ঞানির আবিষ্কৃত পলিথিনের বিকল্প পচনশীল সোনালী ব্যাগ দেখতে প্রচলিত পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই। পাটের সুক্ষ্ম সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। পাটের তৈরি সোনালী ব্যাগ মাটিতে ফেললে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না। এ ব্যাগ দামে সাশ্রয়ী হবে। এভাবে পাটের ব্যবহার বাড়লে ন্যায্য দাম পাবেন কৃষক। অতীতের মতোই, বাংলাদেশ পাট দিয়েই বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত হবে।
এসএইচআর/এসএম