কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে তিন দিনের ব্যবধানে ৪৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৫ টাকা বেড়ে বুধবার (২ জুন) রাজধানীর বাজারে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই আমরাও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টা পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বাজেটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রতি বছর এই সময়ে ভারতের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও পেঁয়াজ আসত। কিন্তু করোনার কারণে কয়েক মাস ধরেই পেঁয়াজ আসছে না।

এছাড়াও পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুরসহ যেসব জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সব কিছু মিলেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

এদিকে হঠাৎ কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা। পেঁয়াজের দাম-দর করতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন কেনার দরকার নেই, এভাবে চললে দুই সপ্তাহে পর যখন ১০০ টাকা কেজি হবে তখন কিনেন।

রামপুরায় বাজার করতে আসা রকিবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। কয়েক দিন আগে মৌসুম শেষ হয়েছে। এখনি দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তারপর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারের বাজার মনিটরিং না থাকায় সুবিধা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজেদ বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজ আমদানির বন্ধ রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানি না হলে, বাজার স্বাভাবিক হবে না। আর বাজার স্বাভাবিক না হলে দাম কমবে না। বরং আরও বাড়বে।

কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি মণ দেশি পেঁয়াজ (৪০ কেজি হিসাবে) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায়। এতে পেঁয়াজের কেজি পড়ে ৫০-৫২ টাকা। শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানি না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।

বাড্ডার খুচরা ব্যবসায় মহসিন মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবচেয়ে খারাপ পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৫৫ টাকা কেজি। ভালো মানের পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এই পেঁয়াজ গত দুই-তিন দিন আগেও ৪২-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।

এমআই/ওএফ