প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ৪৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেটে। আলোচিত এ বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

ঘাটতি পূরণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক খাত থেকে নেওয়া হবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার এক কোটি টাকা নেওয়া হবে।

নতুন অর্থবছরের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ৪৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত হিসাব অনুযায়ী বছর শেষে ৪৪ বিলিয়ন ডলার হবে বৈদেশিক রিজার্ভ। গত অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় রিজার্ভ ৪৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল।  

বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি তৃতীয় বাজেট। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।‌ 

এসআর/আরএইচ/জেএস